একদিনে নোয়াখালীঃ অপূর্ব বজরা শাহী মসজিদ ও গান্ধী আশ্রম ভ্রমণ

মোঘল স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শনের সাক্ষী ঐতিহাসিক বজরা শাহী মসজিদ।
মোগল সম্রাট মুহাম্মদ শাহের আমলে ১১৫৩ হিজরী সাল মোতাবেক ১১৩৯ বাংলা এবং ১৭৩২ সালে জমিদার আমানউল্যাহ বজরা শাহী মসজিদ নির্মাণ করেন।

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলাধীন বজরা ইউনিয়নের দিল্লির শাহী মসজিদের অনুকরণে নির্মিত বজরা শাহী মসজিদ মোগল সাম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করছে। এরপর যাবেন গান্ধী আশ্রমে।

১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালী জেলা পরিদর্শনের সময় এই অঞ্চলের তৎকালীন জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ জয়াগ গ্রামে তাঁর সকল সম্পত্তি গান্ধী আদর্শ প্রচার এবং মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি সংরক্ষণের একটি ট্রাস্ট এর মাধ্যমে জন্য দান করেন এবং মহাত্মা গান্ধীর নামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন যা গান্ধীজী আশ্রম নামে পরিচিতি লাভ করে। গান্ধী আশ্রমে মহাত্মা গান্ধীর নামে একটি জাদুঘর ও আছে যাতে মহাত্মা গান্ধীর তখনকার নোয়াখালী সফরের শতাধিক ছবি , ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও প্রকাশিত লেখা সংরক্ষিত আছে।

এই আশ্রমটি একটি লাভজনক সংস্থার মতোই! অপূর্ব এক জায়গা। একদিকে চরকায় তাঁত বোনা, মাছ চাষ, ক্ষেতে ফসল উৎপাদন, গাছে ফল চাষ, গরুর খামার সহ নানা উৎপাদনশীল কার্যক্রম দেখতে পাবেন! এককথায় মুগ্ধ হবেন এখানে এলে! সোনাইমুড়ি থেকে জয়াগ বাজার পর্যন্ত সিএনজি পাবেন।

যেভাবে যাবেন- প্রথমে ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে নোয়াখালী আসতে হবে। নোয়াখালীর মাইজদী থেকে সোনাইমুড়িগামী লোকাল বাস অথবা সিএনজিতে সোনাইমুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে নেমে পশ্চিম পাশের রাস্তা ধরে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই বজরা শাহী মসজিদের দেখা পাবেন।

বি:দ্র:- প্রকৃতি ও পুরাকীর্তি আমাদের সম্পদ। দয়া করে পুরাকীর্তির গায়ে আঘাত করবেন না, প্রকৃতিতে যত্রতত্র অপচনশীল ময়লা ফেলবেন না। আপনি যেমন সৌন্দর্য উপভোগ করছেন, আপনার পরবর্তী প্রজন্ম যেন অধিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে।