রাতারগুল সিলেট

Sabbir Ahmad Sadat এর ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া

রাতারগুল সিলেট

বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার উপযুক্ত জায়গা। আমরা ঢাকা থেকে ৪ জন গিয়েছিলাম। আগের রাতে বাসে/ট্রেনে সিলেটের কদমতলী বাস স্ট্যান্ড। সেখানে নেমে হোটেলে গিয়েছিলাম। ২০ টাকা করে সিএনজি দিয়ে শাহ জালাল মাজার পর্যন্ত। মাজারের আশে পাশে অনেক গুলো হোটেল আছে।ভাড়া নিবে ১১০০ টাকার মত। এক রুম ডুয়েল বেড। হোটেলে ফ্রেশ হয়ে একদিনের প্ল্যান নিয়ে বের হলাম। বিছনাকান্দি এবং রাতারগুল। মাজারের সামনেই সিএনজি স্ট্যান্ড। দুটো জায়গায় নিয়ে যাবে,সারাদিন থাকবে এবং আবার হোটেলের সামনে নামিয়ে দিয়ে যাবে। সেই জন্য ২৫০০ বা এর উপরে ভাড়া চাইবে। আপনি ১২০০ টাকা থেকে শুরু করবেন। ১৫০০ টাকার মধ্যে ঠিক করে ফেলবেন। সিএনজি মামার সাথে ভালো খাতির করে ফেলতে পারলে উনি পুরো জার্নিতে আপনাকে অনেক ভাবে সাহায্য করবে। কোথায় কিভাবে গেলে ভালো হবে এসব সম্পর্কে। আর রাতারগুল,বিছনাকান্দিতে নৌকার ভাড়া ঠিক করতেও হেল্প করবে।

রাতারগুল যাওয়ার রাস্তাটা মোটামুটি ভালো। তাই প্রথমে রাতারগুল যেয়ে পরে বিছনাকান্দি যাওয়াটাই ভালো। রাতারগুলে বর্ষায় অনেক পানি থাকে। আমরা মে মাসে গিয়েছিলাম। বৃষ্টি,পানি দুটোই ছিল। এখন পানি আরো বেশি। ঘাঁটে সারি সারি অনেক গুলো ছোট নৌকা থাকে। ৫ জনের বেশি না যাওয়াই ভালো এক নৌকায়। নৌকা ভাড়া বাংলাদেশ সরকার থেকে ৭৫০ টাকা নির্ধারিত। এর উপর মাঝিকে আপনি যা দেন। আমরা ২০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। যাত্রার ২০ মিনিটের মধ্যেই ওয়াচ টাওয়ারে পৌঁছে যাবেন। সেখান থেকে পুরো রাতারগুলের ভিউ দেখা যায়। তারপর আশে পাশে কিচ্ছুক্ষণ ঘুরে আবার ঘাঁটে চলে আসবেন।

পরিবেশকে সুন্দর রাখা আমাদের কর্তব্য। তাই আমরা সবাই পরিবেশকে সুন্দর রাখার চেষ্টা করবো।

হ্যাপি ট্রাভেলিং

ম্যাপ / ডাইরেকশন এর জন্য ক্লিক করুন