থ্যাম লুয়্যাং কেভ রেসকিউ

থ্যাম লুয়্যাং কেভ রেসকিউ

 Chaitali Biswas এর ফেইসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া 

শ্বাসরুদ্ধকর এক অভিযান আর বাস্তবের সুপারহিরোদের গল্প, যার শেষ হবে কবে এখনো কেউ জানিনা…

সারা পৃথিবী যখন তীব্র ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত, তখন বিশ্বকাপের সুপারহিরোদের খবর রাখার পাশাপাশি ক’দিন ধরে আমার মতো আরো অনেকে প্রতিদিন সকালে উঠেই প্রথমে আরো একটি খবর পড়ছেন।আর সেটা হলো থাইল্যান্ডের একটি ক্ষুদে ফুটবল টীমের খবর।

বারোজন ক্ষুদে ফুটবলারের এই দলটির প্রত্যেকেই কিশোর, বয়স এগারো থেকে ষোল। ওরা থাকে থাইল্যান্ডের উত্তরে চিয়্যাং রাই নামের এক প্রদেশে। চিয়্যাং রাই পাহাড়ী এলাকা। অনেক অনেক পাহাড়ের মধ্যে থ্যাম লুয়্যাং নামের এক পাহাড়ের ভেতর এক গভীর সুড়ঙ্গ আছে। ছেলেদের খুব ইচ্ছে একদিন ওই সুড়ঙ্গের ভেতর কি আছে দেখতে যাবে।

২৩ জুন, ২০১৮। অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় কিশোর ফুটবলারের দলটি এদিন ম্যাচ শেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল আজ সবাই মিলে থ্যাম লুয়্যাং এর গুহার ভেতর যাবে। আর সংগে নেবে ওদের কোচকে। ওদের পঁচিশ বছর বয়সী কোচ নাকি আগেও অনেকবার ওই গুহার ভেতরে গিয়েছেন, তাই কোচই পারবেন ওদের সবচেয়ে ভালো গাইড করতে। কোচ ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছেন, অনাথ ছিলেন তাই বড় হয়েছেন বৌদ্ধমঠে। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রায়ই নাকি ওই গুহার ভেতর বসে ধ্যান করেন, ওদের কোচও নাকি ছোটবেলায় ভিক্ষুদের সংগে গিয়ে ওই গুহায় বসে ধ্যান করতেন, মেডিটেশন প্রাকটিস করতেন। তাই ছেলেরা আজ কোচকেই ধরলো, ওদের গুহার ভেতর নিয়ে যেতেই হবে। কোচ ছেলেদের আবদার ফেলতে পারলেন না, রাজী হয়ে গেলেন। বহুবার গিয়েছেন, হাতের তালুর মতোই চেনেন সবকিছু।

জন ভলান্তেন আর রিচার্ড স্ট্যান্টন, পাশের বাড়ীর সুপারম্যান
জন ভলান্তেন আর রিচার্ড স্ট্যান্টন, পাশের বাড়ীর সুপারম্যান

এখন বর্ষাকাল। আর আজকে আবার আকাশটা ভারী ভারী কালো মেঘে ছেয়ে আসছে, খুব বৃষ্টি হবে বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু দুরন্ত ছেলের দল কি আর তাতে ডরায়? বৃষ্টি তো এসময় রোজই হচ্ছে, আর কোচ তো সাথে আছেনই। ওরা ওদের সাইকেল,ব্যাকপ্যাক এসব গুহার সামনে রেখে ভেতরে ঢুকে পড়লো। সুড়ঙ্গ ধরে কিছুদূর সামনে এগোতেই ওরা বুঝতে পারলো বাইরে ভীষন বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। ভেতরে ঢোকার সময় ওরা ছোট ছোট মশাল জ্বালিয়ে নিয়েছিলো যাতে সুড়ঙ্গপথ ভালো দেখতে পাওয়া যায়, ভেতরে কোনো আলো ঢোকেনা তো! পাহাড়ী সুড়ঙ্গ বেশ উঁচুনীচু, পাথুরে আর বিপজ্জনক। কিন্তু বিপদ না থাকলে আর অ্যাডভেঞ্চারে মজা কোথায়?

ছেলেরা খুব অবাক হচ্ছিলো, গুহার ভেতর নিকষ অন্ধকার, মশালের আগুনটুকু না থাকলে কিচ্ছুটি দেখতে পেতোনা, পাহাড়ী আঁকাবাঁকা সুড়ঙ্গ, কখনো কখনো নীচে দিয়ে ঠান্ডা জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে, বর্ষাকাল তো, তাই। বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা আর আশ্চর্য রকম নিস্তব্ধ, আস্তে করে কথা বললেও পাহাড়ের গায়ে প্রতিধ্বনি হচ্ছে, গা ছমছমে পরিবেশ তবু খুব মজাই লাগছে। কিন্তু কোচ এবার বললেন, আজকে এ পর্যন্তই, এবার ফিরতে হবে। ফেরার ইচ্ছে যদিও নেই তবু কি আর করা। সন্ধ্যে হয়ে আসছে, ফিরে না গেলে বাবা-মাও দুশ্চিন্তা করবেন, তাই এবার ওরা ফিরতি পথ ধরলো, পরেরবার এসে না হয় আরেকটু ভেতরে যাওয়া যাবে।

বারোজনের দলটি কোচকে সাথে নিয়ে ফিরতে শুরু করেছে, বেশ কিছুদূর এসে ওরা যা দেখলো, তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলোনা কেউ। বৃষ্টির জলে বন্যার মতো ভেসে যাচ্ছে সুড়ঙ্গের নীচু অংশ। ওরা কিছুটা উচুঁতে পাথরের উপর দাঁড়িয়ে দেখলো, ভারী বৃষ্টিতে বন্যার জল ঢুকে এরই মধ্যে তলিয়ে গেছে সুড়ঙ্গের নীচু অংশের পথ, এখন আর বের হওয়ার কোন উপায় নেই।

কোচ সাঁতার জানলেও ছেলেদের বেশীরভাগই সাঁতার জানেনা, আর পাহাড়ী উঁচুনীচু সুড়ঙ্গপথ বেয়ে সাঁতরে বেরোতে হলে সাঁতারে পারদর্শী হতে হবে, কে জানে ডুব সাঁতার দিয়েও যেতে হতে পারে! কি করবে ভেবে পাচ্ছিলোনা ওরা, আর এদিকে বাইরে বৃষ্টি থামারও নাম নেই। জলের উচ্চতা আরো বাড়ছে, ওরা বুঝতে পারলো এখানেই অপেক্ষা করলে কিছুক্ষনের মাঝেই ডুবে যাবে। তাই ওরা এবার আর উপায় না দেখে আবার ভেতরের দিকে যেতে শুরু করলো, যদি কোন উঁচু পাথরের উপর আশ্রয় নেয়া যায়, সেই আশায়।

অনেকক্ষন হয়ে গেছে, ওরা সবাই এসে উঁচু একটা পাথরের উপর বসেছে। পেছনে জলের উচ্চতা বাড়তে বাড়তে ওদের পা ছুঁই ছুঁই করছে। কারো কারো মশালের আগুন এর মধ্যে নিভে গেছে, কারো কারোটা এখনো জ্বলছে তবে বেশীক্ষন আর আশা নেই। শেষ মশালের আগুনটা নিভে গেলে গভীর নিকষ নিঃশব্দ অন্ধকারে ডুবে যাবে ওরা। কি করেই বা খবর পাঠাবে বাইরে যে ওরা আটকে গেছে? ওরা তো সাঁতার জানেনা, আলোও নেই, কিচ্ছু দেখতে পাবেনা, কি করে বের হবে এখান থেকে?
কোচ শুধু সান্তনা দিয়ে চলেছেন, ভয়ের কিছু নেই, তোমরা শান্ত হয়ে থাকো, ধৈর্য্য ধরো, উপায় একটা বের হবেই…

এদিকে ছেলেরা কেউই যখন রাত হয়ে যাওয়ার পরও বাড়ীতে ফিরছেনা, আস্তে আস্তে বাবা মায়েরা একটু চিন্তিত হতে লাগলেন, কয়েকজন মিলে খুঁজতে বের হলেন, রাত হয়ে গেছে, তার উপর ভীষন বৃষ্টি, কোনকিছুই ঠাহর করা যায়না, কোথাও খুঁজে পেলেননা তেরোজনের দলটাকে। পরদিন দিনের আলো ফোটার পর খুঁজতে খুঁজতে দেখলেন ওদের সাইকেল, ব্যাগ এসব থ্যাম লুয়্যাং এর গুহার সামনে। কিন্তু গুহার ভেতর যাওয়ার কোন উপায় নেই, বন্যার জলে ডুবে গেছে সুড়ঙ্গের ভেতরের পথ। ছেলেরা আর ওদের কোচ কি তবে ভেতরেই আটকা পড়েছে?

দুঃসংবাদ ছুটে গেলো বাতাসের আগে, হাজার হাজার সাধারন মানুষ, সেনাবাহিনীর সদস্য এসে উদ্ধারকাজে যোগ দিলেন। কিন্তু উদ্ধারকাজ শুরু হওয়ার পর নয় নয়টা দিন পার হয়ে গেলো, তেরোজনের দলটার কোনো খোঁজই নেই! থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী, ওদের নেভীর চৌকস ডুবুরীরা কিছুতেই কোন কুলকিনারা পাচ্ছেন না। বন্যার জলে কাদা মিশে জল ঘোলা আর ভারী হয়ে আছে, আলোও নেই, কিছু ভালো করে দেখতে পাওয়া যায়না। নেভী সদস্যরা বেশ ক’বার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন। তাই এবার বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ, দক্ষ ডুবুরীদের ডেকে পাঠানো হলো, যাদের পাহাড়ী সুড়ঙ্গের ভেতর অভিযান পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইউএস, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা উদ্ধারকর্মীর দল থাই নেভী সদস্যদের সাথে নিয়ে উপায় বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা।ভারী বৃষ্টিতে উদ্ধারকাজও প্রতিমুহূর্তে পিছিয়ে পড়ছে।

ছেলেদের বাবা মায়েরা তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও গুহার সামনে বসে প্রার্থনা করে চলেছেন যেন সবাই সুস্থ্য ভাবে ফিরে আসে। স্থানীয় বৌদ্ধমঠ থেকে ভিক্ষুরা এসেছেন, প্রার্থনা চলছে। পুরো থাইল্যান্ড আর বিশ্ববাসীও টেলিভিশন আর খবরের কাগজে প্রতিমুহূর্তের খবর দেখছেন, প্রার্থনা করছেন। অবশেষে বুঝি ঈশ্বর মুখ তুলে চাইলেন। ব্রিটেন থেকে আসা দুজন ডুবুরী বললেন তারা অক্সিজেন সিলিন্ডার পিঠে লাগিয়ে ডুবসাঁতার দিয়ে ভেতরে যাবেন। ওদের খুঁজে আনবেনই। যদিও আঁকাবাঁকা আর উঁচুনীচু সুড়ঙ্গের ভেতর ঘোলা আর ভারী কাদাপানিতে সাঁতরানো খুবই বিপজ্জনক, তার উপর আবার গুহার ভেতর বলতে গেলে কোন আলোই নেই। তবুও সাহস করে ওরা এগুলেন।

২ জুলাই, ২০১৮। রিচার্ড স্ট্যান্টন, ৫৮ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত দমকল ও উদ্ধারকর্মী আর ৪৮ বছর বয়সী জন ভলান্তেন, আইটি স্পেশালিস্ট ও শৌখিন ডুবুরী। এই দুজন ব্রিটিশ ডুবুরী প্রায় চার ঘন্টা ধরে বন্যায় ডুবে যাওয়া সুড়ঙ্গের উঁচুনীচু পথ ধরে সাঁতরে অবশেষে তেরোজনের দলটিকে একটা উঁচু পাথরের উপর আবিষ্কার করলেন। ওরা গুহার মুখ থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরে আটকা পড়েছে। কিন্তু এই চার কিলোমিটার পথ এতো দুর্গম হয়েছে বৃষ্টি আর বন্যায় যে ডুবুরীদের পৌঁছোতে প্রায় চার ঘন্টা সময় লেগে গেলো।

কিশোরদলটি অবাক হয়ে দেখলো সুপারহিরোদের গল্প শুধু গল্পই নয়, সত্যিই পৃথিবীতে তাহলে সুপারহিরো আছে! গভীর অন্ধকারে আর কোনো আশার আলোই ওরা যখন দেখতে পাচ্ছিলোনা তখন কোত্থেকে যেন জলের উপর ভেসে উঠলো দুই সুপারহিরো! দেখতেও অদ্ভুত তারা, মোটেও সুপারম্যানের মতো না। মুখে মাস্ক, মাথায় টর্চ, পিঠে সিলিন্ডার। কারা ওরা? ছেলেরা আজ দেখলো যে সুপারম্যান হতে হলে সুঠামদেহী, চওড়া চোয়ালের সুদর্শন তরুন না হলেও হয়। মাঝবয়সী সাধারন চেহারার লোকেরাও তাহলে সুপারম্যান হয়।

মানুষ দুজন প্রথমেই ওদের জিজ্ঞেস করলো তোমরা ক’জন? ওরা বললো, তেরো। কিন্তু তোমরা কে? কোথা থেকে এসেছো? ডুবুরী দুজন উত্তর দিলেন আমরা সেই ইংল্যান্ড থেকে এসেছি, তোমাদের কোনো ভয় নেই, আরো মানুষ আসছে তোমাদের নিয়ে যেতে। ছেলেরা ভাঙা ইংরেজীতে জিজ্ঞেস করলো আজকে কি বার? কতোদিন হলো আমরা এখানে? ছেলেরা কখন দিন আর কখন রাত হচ্ছে অন্ধকারে কিছুই বুঝতে পারছিলোনা…কতোদিন কেটে গেছে তারও কোন হিসেব ছিলোনা। ডুবুরী দুজন বললেন আজ সোমবার, দশদিন হয়ে গেলো তোমরা এখানে আছো, তোমরা খুব সাহসী, খুব বাহাদুর বাচ্চা! ওরা এবার জানতে চাইলো আজকে কি বের হতে পারবে? ডুবুরীরা বললেন, আজ তো হবেনা তবে শিগগিরই তোমাদের বের করার ব্যবস্থা করা হবে। এবার ছেলেরা বললো ওদের খিদে পেয়েছে, দশদিন ধরে ওরা শুধু পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চুইয়ে পড়া বৃষ্টির জল খেয়ে আছে।

থ্যাম লুয়্যাং কেভ রেসকিউ
থ্যাম লুয়্যাং কেভ রেসকিউ

সুখবরটা ছড়িয়ে পড়তেই সবাই যেন কিছুটা হাফ ছেড়ে বাঁচলো। এরমধ্যে নেভীর ডাক্তার, নার্স আর অন্য সদস্যরা খাবার, ওষুধ, গরম কাপড় আর লাইট নিয়ে পৌঁছে গেলো ওদের কাছে। ওদের হাতপা ছড়ে গিয়েছিলো তাতে ওষুধ দেয়া হলো। ওদের জিজ্ঞেস করা হলো কি করে ওরা এতোদিন এই গভীর অন্ধকার গুহায় অপেক্ষা করেছে? ওদের ভয় লাগেনি? ওরা বললো, ওদের কোচ তো ছোটবেলায় মেডিটেশন করতেন, তিনিই সাহায্য করেছেন বিপদে শান্ত থাকতে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা পরে সাক্ষাতকারে বলেছেন, বাচ্চাগুলোর মনোবল দেখার মতো, ওরা মোটেও ভাঙে পড়েনি, এই কঠিন বিপদেও ওরা ধৈর্য্য ধরে ছিলো।

আজ ৫ জুলাই। ১২ দিন হতে চললো। বিশ্বের বাঘা বাঘা গবেষকরা এখনো কোনো কিনারা করতে পারেননি যে কি করে ওদের বের করে আনা যায়। অনেকগুলো প্ল্যান আছে তাদের। যেমন ছেলেদেরকে সাঁতার শেখানো এবং অক্সিজেন মাস্ক ইত্যাদি ব্যবহার করে কিভাবে ডুবসাঁতার দিতে হয় সেটা শেখানো, কিন্তু এসব সবই খুব সময় সাপেক্ষ আর পারদর্শী না হলে খুব বিপজ্জনকও। থাই সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুহার ভেতরের জল পাম্প করে বের করার চেষ্টা করছেন কিন্তু ভারী বৃষ্টির জন্য খুব একটা লাভ হচ্ছেনা। আরেকটা বুদ্ধি হলো পাহাড়ের উপর থেকে ড্রিল করে রাস্তা তৈরী করে সেই রাস্তা দিয়ে ওদের বের করে আনা। আর কোনো কিছুই যদি প্ল্যানমতো কাজ না করে তবে বর্ষাকাল শেষে বন্যার জল নেমে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা, আর সেটা হলে ছেলেদেরকে প্রায় চার মাস গুহার ভেতর থাকতে হবে।

উদ্ধার অভিযান
উদ্ধার অভিযান

চারমাসের খাবার না হয় পৌঁছে দেয়া যাবে কিন্তু চারমাস এই বদ্ধ গুহার ভেতর থাকলে ওদের শারীরিক আর মানসিক অবস্থার ভীষন ক্ষতি হতে পারে এই ভয়ও আছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওখানে টেলিফোন লাইন বসানোরও চেষ্টা করছেন যেন কিশোররা তাদের বাবা মায়ের সাথে কথা বলতে পারে। আবহাওয়া অ‌ধিদপ্তর বলছে সামনে আরো ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, তেমন হলে পুরো সুড়ঙ্গই প্লাবিত হয়ে যাওয়ার ভয় আছে, তাই তার আগেই ওদের ওখান থেকে বের করে আনতে হবে। পুরো বিশ্ববাসী এখন তাকিয়ে আছে কি করে এই শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের সমাপ্তি হয় তা দেখার আশায়। আমাদের সকল প্রার্থনা ক্ষুদে ফুটবলারদের জন্য আর স্যালুট সেসব সুপারহিরোদের যারা দিনরাত পরিশ্রম করে চেষ্টা করছেন বাবা মায়ের কাছে ওদের ফিরিয়ে দিতে।

গত সপ্তাহ জুড়ে বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলের খবর, সাধারন উদ্বিগ্ন মানুষের টুইট, ফেইসবুক পোস্ট আর কমেন্টের ভিত্তিতে লেখা। আর মজার কার্টুনটা একেঁছেন ব্যাংককের একজন কার্টুনিষ্ট। আরেকটি ছবিতে ম্যাপে দেখানো হয়েছে কোথায় কতোদুরে আটকে আছে বাচ্চা ছেলের দলটি এবং বাকি ছবিগুলো চলমান উদ্ধার অভিযানের।