দুইদিনের ট্যুরে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও খৈয়াছড়া ঝরনা ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও হযরত বায়েজিদ বোস্তামি (রঃ) মাজার

দুইদিনের ট্যুরে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও খৈয়াছড়া ঝরনা ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও হযরত বায়েজিদ বোস্তামি (রঃ) মাজার

লিখেছেন : Utshow Biswas

১২০০ফুট উচ্চতার বিশালতা আর সাগরের গর্জনে যদি বিমোহিত হতে চান তবে এটি হবে আপনার জন্য আদর্শ ট্যুর।একদিকে মেঘকে খুব কাছ থেকে দেখা অানন্দ আবার অন্যদিকে বিশাল সাগরের মনোমুগ্ধকর সূর্যাস্ত, অামরা ছিলাম গ্রুপে ৭ জন।
রাত ১০ঃ৩০ এর কমলাপুর লোকাল ট্রেনেও উঠতে পারেন আপনি।যার ভাড়া ১১০/- জনপ্রতি। ( লোকাল ট্রেনের টাইম ঠিক নাই ১০টার ট্রেন ১২টাই অাসে)

ট্রেন সীতাকুন্ডুে এসে পৌছাবে ৪.০০ টার দিকে সব ঠিক থাকলে।
ট্রেন থেকে নেমে কিছু খাবার খেয়ে নিতে পারেন জন প্রতি ৩০/-

সীতাকুণ্ড বাজার থেকে সিএনজি ভাড়া ২০/- জনপ্রতি করে চলে যাবেন চন্দ্রনাথ পাহাড়ের গেইটের সামনে।সেখান থেকে ২০/- দিয়ে লাঠি নিয়ে (অক্ষত অবস্থায় ফেরত দিলে যাবার সময় ১০/- ফেরত পাবেন) শুরু করবেন যাত্রা।

যাত্রার সময় অবশ্যই আগেই স্যালাইন ভর্তি পানি নিয়ে নিবেন সাথে।কারণ পাহাড়ে অতিরিক্ত দাম পানির।এছাড়া যতো হালকা জামা কাপড় এবং ব্যাগ সাথে নিয়ে যাবেন ততই কষ্ট কম হবে আপনার।
অাবার নিচে ব্যাগ রাখতে পারবেন জন প্রতি পরবে ২০/- । অামরা অবশ্য ব্যাগ রেখে গিয়েছিলাম।

উঠার সময় অবশ্যই বাম পাশের সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন।ভুলেও ডান পাশের সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন না।

ধীরে ধীরে বিশ্রাম নিতে নিতে উঠবেন।আর সাথে অবলোকন করতে পারবেন প্রকৃতির অপরূপ ধারা।

আনুমানিক ১০০০ফুট উঠার পরে দুটো মন্দির পাবেন।সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার যাত্রা শুরু করুন। চন্দ্রনাথ মন্দিরে পৌছাতে ১.৪০ঘন্টার মতো লাগবে।

প্রায় ১৩৬০ সিঁড়ি পার করে আপনি যখন মন্দিরের কাছে পৌছাবেন,বিশ্বাস করুন প্রকৃতির রূপ দেখে আপনি ভুলে যেতে বাধ্য সকল কষ্ট। এটা মোটেও এতো সহজ না ১২০০ ফুট উপরে উঠা।আপনার যদি অসীম মনোবল থাকে তবেই পারবেন।

তারপরডান পাশের সিঁড়ি দিয়ে সাবধানে নেমে যাবেন।এই পাশে নামার সময় দেখবেন অনেক সিঁড়ি প্রায় ৮০ডিগ্রী পর্যন্ত খাড়া।এবার বুঝুন এই পাশ দিয়ে উঠলে আপনার কী হাল হতো।অনেকেই এই পাশ দিয়ে উঠতে গিয়ে অর্ধেক পথ শেষে ফিরে আসে।

৪০ মিনিটের ভেতর নেমে বাজারে গিয়ে কিছু খেয়ে। ৫-১০ মিনিট হেটে মেইন রোড এ গিয়ে লেগুনাতে উঠে খৈয়াছড়া মেইন রোড গেটে যাবেন জনপ্রতি ভারা পড়বে ৩৫ টাকা।
সিএনজি নিয়ে চলে যাবেন খৈয়াছড়া মূল গেট এ ভারা পড়বে ২০/-। সখানে গিয়ে খারার অর্ডার দিয়ে যাবেন ঝরনা দেখতে (খাবারে জন প্রতি ১০০/- ) ঝরনা দেখতে যাবার অাগে লাঠি নিয়ে যাবেন। জুতা ও ব্যাগ যেখানে খাবার অর্ডার করবেন সেখানে রেখে যাবেন। তারপর হাটা শুরু করবেন ২০-৩০ মিনিট হাটার পর প্রথম ঝরনা দেখতে পারবেন। মোট ১১ টি ঝরনা অাছে। যদি মনোবল ঠিক থাকে ১১ টি ঝরনা দেখতে পারবেন।
রাস্তা দিয়ে সাবধানে হাটবেন রাস্তা অনেক পিচ্ছল থাকে পরে গিয়ে ব্যাথা পাইতে পারেন।

তারপর ঝরনা তে গোসল করবেন সবাই মিলে। গোসল শেষ করে ব্যাক করবেন অাবার। খাবার শেষ করে সিএনজিতে করে মেইন রোডে গিয়ে সেখান থেকে চ্ট্টগ্রাম এর বাসে উঠতে হবে ভারা লাগবে জনপ্রতি ৫০/-। বাসে যেখানে নামিয়ে দেবে সেখানে অনেক হোটেল অাছে হোটেল এ উঠতে হবে। (জনপ্রতি ২০০-৩০০/- পড়বে)
ফ্রেস একটা ঘুম দিয়ে পরেরদিন সকাল হোটেলের সামনে থেকে সিএনজি নিয়ে চলে যাবেন মাজারে। সেখানে কিছুসময় ঘুরে দুপুরের খাবার শেষ করে বাসা উঠে পড়বেন ২ নম্বর গেট এ গিয়ে নামবেন। সেখান থেকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এ যাবার জন্য বাসে উঠবেন (প্রতিজন ৩০/-করে পড়বে) ৩০-৪০ মিনিট এর ভেতর বাস নামিয়ে দেবে। সাগরের অপুরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করুন। সূর্য ডোবা উপভোগ করুন। রাত হয়ে গেলে সমুদ্রসৈকত থেকে উঠে যদি কোন কেনাকাটা থাকে তাহল তা করে বাসে গিয়ে উঠতে হবে। বাসে করে চট্টগ্রামরেলস্টেশন গিয়ে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠে পডুুন ট্রেন ছারবে রাত ১০.৩০ মিনিট এ।
অামাদের জনপ্রতি খরচ পড়ছিল ১৫০০/-

ঘুরতে গিয়ে প্লাস্টিক,পলিথিন,বোতল ফেলবেন না।পরিবেশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।