ঘুরে আসুন একদিনেই পদ্মা রিসোর্ট,মুন্সিগঞ্জ+মাওয়া ঘাট থেকে

ঘুরে আসুন একদিনেই পদ্মা রিসোর্ট,মুন্সিগঞ্জ+মাওয়া ঘাট থেকে
আপনি যদি ট্রাভেলপাগল একজন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ট্যুর টা আপনার জন্য..
যাতায়াতঃ ঢাকার যাত্রাবাড়ি/গুলিস্থান থেকে মাওয়াগামী যে কোনো বাসে উঠে মাওয়া চৌড়াস্তা নামুন।ভাড়া ৭০ টাকা।
এরপর আপনি অটো তে করে জনপ্রতি ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে পদ্মা রিসোর্ট চলে যান।রিসোর্টে নেমেই ৫০ টাকা (১০ টাকা নৌকা ভাড়া+৪০ টাকা রিসোর্ট এন্ট্রি ফি) দিয়ে নদী পার হয়ে সরাসরি রিসোর্টে চলে যান।
এরপর একই ভাবে রিসোর্ট ঘুরে আপনি অটো করে মাওয়া ঘাট ২০ টাকায় আসতে পারবেন।

বি:দ্র:রিসোর্টে যাওয়ার জন্য নদী পার হতে নৌকায় উঠলেই সাথে সাথে মাঝি আপনার থেকে ভাড়া আর এন্ট্রি ফি সহ ৫০ টাকা নিয়ে নিবে।
ফিরার পথে নৌকায় কিন্তু কোনো টাকা নিবেনা..
খাওয়া_দাওয়া:সারাদিন ঘুরে নিশ্চই আপনি পেট কে শান্ত করার জন্য হন্য হয়ে যে কোনো খাবার হোটেল খুজবেন? তাহলে অবশ্যই আপনি চলে যান

মাওয়া ঘাটে যে কোনো একটা খাবার হোটেলে।কারন রিসোর্টের আশেপাশে কোনো ভালোমানের খাবার হোটেল নেই..
দর দাম করে বসে পরুন পেটপুজো তে..
বিকেলের মধ্যেই নিজের পেট কে শান্ত করে ঢুলু ঢুলু শরীর নিয়ে চলে যান পদ্মা নদীর পাড়ে..
সবাই মিলে একসাথে গোধুলীলগ্নে সুর্য মামা কে বিদায় জানিয়ে মাওয়া থেকে আপনার গন্তব্যস্থলে পৌছূন।
সাবধানতা:পদ্মা রিসোর্টের ক্যান্টিনে কখনোই ভারি খাবার খাবেন না।তাদের প্যাকেজ খাবার(ভাল,ডাল,মুরগি) নাকি মাত্র ৪৫০ টাকা😱
হয়তো এই ডাকাতি আপনার ভ্রমন কে বরবাদ করে দিতেই যথেষ্ট 😞
আর অবশ্যই সন্ধ্যার সাথে সাথে মাওয়া ঘাট ত্যাগ করুন।কারন সন্ধ্যার পরে কিছু অসাধু মানুষ আপনাকে টার্গেট করে ডাকাতি/ছিনতাই এর পরিকল্পনা করতে করে..
আর হ্যা,দয়া করে কেউ চিপস এর প্যাকেট,খালি বোতল ইত্যাদি ফেলে রিসোর্টের পরিবেশ নস্ট করবেন না।