রেমা কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অভিযান

রেমা কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অভিযান

পাহাড়, ঝর্ণা, ঝিরি, সমুদ্র ঘোরাঘুরি তো অনেক হলো, এবার নাহয় একটু ভৌতিক পরিবেশে জঙ্গলে রাত কাটালে কেমন হয়!!! এমন চিন্তা থেকে আমাদের গ্রুপের ২-১ জনের মাথায় আসলো রেমা-কালেঙ্গা জঙ্গলের নাম। “জঙ্গলেই মঙ্গল” বলে একটা কথা আছে না! যেই ভাবা সেই কাজ, নেট থেকে যথেষ্ট ইনফরমেশন নিয়ে আর স্থানীয় গাইডের সাথে যোগাযোগ করে বৈশাখের ছুটিতে আমাদের এবারের ভ্রমণ রেমা কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য অভিযান।

আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে, প্রায় ৩ ঘণ্টা লেটে রাত ৯:৪৫ এর উদয়ন এক্সপ্রেস ছাড়ে ১২:৪৫ মিনিটে।ট্রেন ছাড়ার পর যেন হাফ ছেড়ে বাঁচি, অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম তার উপর রাতে ভাল করে খেয়েও আসা হয়নাই। রাতের ট্রেনে সুবিধা হালকা ঘুমিয়ে নেয়া যায়।কেউ ঘুমালো, কেউ আড্ডা দিলো। আধো ঘুম আধো জেগে জেগে কখন যে ভোর হয়ে গেল টেরই পেলাম না। সকাল ৬ টা নাগাদ আমরা শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন নামলাম, নেমে হালকা ফ্রেশ হয়ে স্টেশনের সামনেই একটা খাবার হোটেলে গিয়ে সকালের নাস্তা সাড়লাম (পরোটা, ডিম, সবজী আর চা)। স্টেশনের সামনেই জীপগাড়ি, লেগুনা স্ট্যান্ড ছিল, আমাদের লোকালে যাওয়ার কথা থাকলেও বাজেটের মধ্যে হওয়ায় ১ টা লেগুনা ৯০০ টাকা দিয়ে সরাসরি কালেঙ্গা বাজার পর্যন্ত ঠিক করলাম। গ্রামের আঁকাবাঁকা রাস্তা, পিচঢালা পথ, রাস্তার দুধারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখতে দেখতে আমরা প্রায় দেড় ঘন্টার জার্নি শেষে কালেঙ্গা বাজারের কিছুটা আগে লেগুনা নামিয়ে দিল, রাস্তা কিছুটা খারাপ বিধায় ১ টা স্থানীয় মাদ্রাসার সামনে নেমে লেগুনাকে বিদায় দিয়ে আমরা কালেঙ্গা বাজার বরাবর হাটা শুরু করলাম, ততক্ষণে আমাদের গাইড নোমান ভাই এসে হাজির, নোমান ভাই আমাদের স্বাগত জানিয়ে আমাদেরকে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে কালেঙ্গা গেটের দিকে এগিয়ে নিলেন, ১০-১৫ মিনিটের পথ পায়ে হেঁটে আমরা রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গেটের সামনে এসে উপস্থিত হলাম। ২০ টাকা করে টিকিট কেটে আমরা ভিতরে ঢুকে পড়লাম, ভিতরে ঢুকতেই আমাদের স্বাগত জানালো বিশাল বিশাল নাম না জানা গাছ।

রেমা–কালেঙ্গা বাংলাদেশের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য যা সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলায় অবস্থিত। এটি একটি শুকনো ও চিরহরিৎ বন এবং সুন্দরবনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক বনভূমি। এছাড়াও এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এবং জীব ও উদ্ভিদবৈচিত্র্যে দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ বনাঞ্চল। রেমা–কালেঙ্গা অভয়ারণ্যের আয়তন ১৭৯৫.৫৪ হেক্টর। বাংলাদেশের যে কয়েকটি প্রাকৃতিক বনভূমি এখনো মোটামু্টি ভাল অবস্থায় টিকে আছে, রেমা-কালেঙ্গা তার মধ্যে অন্যতম। এই অভয়ারণ্যে ৬৩৮ প্রজাতির উদ্ভিদ, গাছ-পালা, লতা-পাতা আছে। উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদগুলোর মধ্যে রয়েছে-আওয়াল, সেগুন, কাঁকড়, নেউড়, হারগাজা, গন্ধরই, হরীতকী, বহেরা, জাম ডুমুর, কাঠাল, চামকাঠাল, কাউ, কদম, রাতা, করাশি, চাপালিশ, নিম, বনমালা ইত্যাদি। আছে ৭ প্রজাতির উভয়চর প্রাণী, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ১৬৭ প্রজাতির পাখি। উল্লেখযোগ্য পাখিগুলো হচ্ছে-ভিমরাজ, পাহাড়ি ময়না, কাও ধনেশ, বনমোরগ, ফোটা কান্টি সাতভারলা, শ্যামা, শালিক, শামুক খাওরি, টুনটুনি ইত্যাদি। ৩৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী আছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য- কালো বন্যশুকর, সাদা বন্যশুকর, বানর, চশমা হনুমান, মুখপোড়া হনুমান, খরগোশ, ছোট হরিন, মেছোবাঘ, মেছোবিড়াল, উল্লুক প্রভৃতি। ভাগ্য ভালো থাকলে হরেক রকমের প্রাণীর দেখা পাবেন আপনি। ভিন্ন এক জগতের আবহ ভেসে উঠবে আপনার চোখের সামনে।রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়াশ্রমে আছে আধা ঘন্টা, এক ঘন্টা ও তিন ঘন্টার তিনটি ট্রেইল বা পথ। প্রতিটি ছবির মতো সুন্দর আর সাজানো। অভয়ারণ্যের ভেতরে আছে সুউচ্চ একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। টাওয়ারের নিচেই আছে আঁকাবাঁকা একটি লেক।
আমরা কালেঙ্গা মেইন গেট থেকে প্রায় ১০ মিনিটের মতো পথ পায়ে হেঁটে আমাদের আগে থেকে বুক করা সিএমসি রিসোর্টে পৌঁছালাম, তখন ঘড়িতে সকাল ১০ টা। এখানে যে কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে তার মধ্যে এই সিএমসি রিসোর্টাই ভাল লাগলো, এছাড়া সরকারি ১ টি ডাকবাংলো ছাড়াও রয়েছে ২-৩ টা প্রাইভেট রিসোর্ট। সারারাতের জার্নি আর পায়ে হেটে হেটে এসে কিছুটা ক্লান্ত অনুভব করলাম, তবে বেড়াতে এসে ক্লান্তি লাগলে চলবেনা। সবাই একে একে করে ফ্রেশ হতে লাগলাম, যেহেতু আমাদের এখানে রাতটা থাকা হবে তাই সকালবেলাটা আমরা রিসোর্টেই থাকলাম, দুপুরের ভাত খেয়ে ছোট ট্রেইলে বের হলাম। আমরা আধ ঘন্টা আর ১ ঘন্টার ট্রেইলের সাথে ওয়াচ টাওয়ার আর তার সামনে লেকটাতে সময় কাটালাম, ১ ঘন্টার ট্রেইলে আমরা কিছু বানর, ভীমরাজ, শামুকখোল পাখি,বনমোরগ আর স্লথ(১ ধরনের কাঠবিড়ালী) দেখলাম। চারিদিকে শুধুই গাছগাছালি আর পাখির কলোরব।ইট পাথরের শহর ছেড়ে মনে হচ্ছিলো এই বন্য পরিবেশে থেকে যাই সারাজীবন!! সন্ধ্যার কিছুটা আগে আমরা আমাদের রিসোর্টে ফিরে আসলাম। চারিদিকে ঝিঝি পোকার ডাক, নিস্তব্ধ বনে খুব সহজেই সন্ধ্যা থেকে রাত নেমে আসে, সন্ধ্যায় চিপস, বিস্কুট, চানাচুর আর চা খেলাম। রাতে আমাদের আয়োজন ছিল বারবিকিউ পার্টি। রাত ৮ টার পর থেকে সেই আয়োজন শুরু হলো, বারবিকিউর সাথে ছিল পরোটা, সালাদ ও ড্রিংকস। বারবিকিউ পার্টি শেষে জমালাম আড্ডা, চললো কারাওকেতে গান, কেউবা আবার ভূতের গল্প বলা শুরু করলো ; জঙ্গলের মাঝে এরকম নির্জন একটা রিসোর্টে ভূতের গল্প পুরো পরিবেশটাকেই একটু অন্যরকম অনুভূতির সঞ্চার করলো! এভাবে কেটে গেল অর্ধেকেরও বেশি রাত। তারপর যে যার মত ঘুমিয়ে পড়লো। এভাবেই আমাদের রেমা কালেঙ্গা অভিযানের প্রথম রাত্রি শেষ হলো।
পরদিন খুব ভোরে পাখির কলকাকলিতে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে গেলো। নোমান ভাইকে বলা ছিল ভোর ৬ টায় চলে আসতে আমরা রেডি থাকবো। যেমন বলা তেমন কাজ আমরা সকাল ৬ টার পরপর বেড়িয়ে পড়লাম ৩ ঘন্টার ট্রেইলের উদ্দেশ্যে। প্রথমে প্রায় পনের মিনিট খুব সুন্দর গ্রামীণ আঁকাবাঁকা রাস্তার মধ্য দিয়ে চলে গেলাম গহীন জঙ্গলে। আমাদের গাইড নোমান ভাইকে বললাম, গতকাল চশমা হনুমান চোখে পড়েনি। আজ যেখানে চশমা হনুমান থাকার কথা সেখানে নিয়ে যান। নোমান ভাই আমাদের আশ্বাস দিলেন আজ অবশ্যই দেখব। মিনিট দশেক হাঁটার পর প্রথম চোখে পড়লো চশমা হনুমানের। এরকম বন্য পরিবেশে এদের দেখতে পাওয়াটা সত্যিই অনেক ভাগ্যের ব্যপার। অনেক দূর থেকেও আমাদেত আগমনী বার্তা পেয়ে সটকে গেল বেটা চশমা হনুমান। তারপর আবার জঙ্গল ধরে হাঁটা। কিছুদূর হাঁটার পর এবার চোখে পড়লো চশমা হনুমানদের বিশাল দল। ছোট বড় মিলে অন্তত বিশ থেকে ত্রিশটা হবেই। জঙ্গলের উচুঁ উচুঁ গাছগুলোর ডগায় বিকট শব্দে এক গাছ থেকে অন্য গাছে যাচ্ছে। এই এক অন্য রকম অনুভূতি। তারপর আবার শুরু হলো আমাদের পথচলা। একটু এগোতেই আমাদের পাশের ঝোপঝাড়ে নড়াচড়া করছে কি যেন একটা। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের সামনে দিয়ে উড়ে চলে গেল একটা বনমোরগ। বনের ভিতর একটি খাল চোখে পড়লো যা আমাদের বেশ কয়েকবার পাড় হতে হয়েছিল। এছাড়াও বনের কিছু অংশে রয়েছে জোঁকের উপদ্রব। আমরাও বেশ কয়েকবার এদের আক্রমণের শিকার হয়েছি। এছাড়াও দেখলাম বিভিন্ন প্রকারের দেশীয় পাখি। নোমান ভাই বললেন, একবার শীতের সময় আসবেন তাহলে আপনাদের দেশীয় পাখির সাথে বিদেশী পাখিদের সাথেও পরিচয় করিয়ে দিব। ২-৩ দিন সময় নিয়ে আসলে নাকি উল্লুকও চোখে পড়বে!!! বন থেকে বের হবার সময় এক‌টি গাছের কোটরে চোখে পড়ল তক্ষক, যা অনেক বিশাল আকৃতির। নাম শুনেছিলাম অনেক কিন্তু এই প্রথম দেখলাম। এছাড়াও গাছে গাছে চোখে পড়লো হরেক রকমের কাঠবিড়ালী। এভাবে হরেক রকমের জীব জন্তুর সাথে পরিচিত হয়ে ফিরে এলাম রিসোর্টে। ডিম ভুনা আর খিচুড়ি খেয়ে ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে ফেরার প্রস্তুতি নিতে থাকলাম। সময় নষ্ট করলে চলবেনা আজই আবার যেতে হবে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ গ্রাম বানিয়াচং। সেই গল্প না হয় তোলা থাক, আরেকদিন বলবো। তবে যেতে মন চাচ্ছিলনা, মনে হচ্ছিল আরেকটা দিন থেকে যাই এই জঙ্গলে!!! খুব অল্প সময়ের মধ্যে এখানকার মানুষেরা আমাদের খুব আপন করে নিয়েছিল, বিশেষ করে গাইড নোমান ভাই আর সিএমসি রিসোর্টের শাহাদাত ভাই। আসার আগে শুধুই পিছন ফিরে বলেছি, “হে রেমা – কালেঙ্গা হয়তোবা আবার দেখা হবে তোমার সনে। ”

আপনারা রেমা কালেঙ্গা ঘুরতে আসলে অবশ্যই গাইড নিবেন, কারণ এটা অনেক বড় একটা বন,হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে এবং এর পাশেই রয়েছে ভারতের আসাম প্রদেশের সীমান্ত। বাংলাদেশ বন বিভাগ থেকে অনুমোদিত ৩ জন গাইড আছে যারা পর্যটকদের পুরো বন ঘুড়িয়ে দেখাবে। এদের মধ্যে নোমান ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করেই আমরা এসেছি, উনি আমাদের পুরো বনটাই ঘুড়িয়ে দেখিয়েছেন এবং এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ সম্পর্কে খুব সুন্দর ধারণা দিয়েছেন, উনি খুব হেল্পফুল।
যোগাযোগ করুন গাইড-ফয়জুল্লাহ আল নোমানঃ ০১৭১২৮৭৫২৩৩/০১৬৮৫১১১২২০
গাইড খরচ : ১০০০-১২০০ টাকা

যাতায়াত :
বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে(বাসে/ট্রেনে) হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ আসতে হবে।
লোকালি আসতে হলেঃ(যদি ঢাকা/চট্টগ্রাম থেকে ট্রেনে আসেন)
শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশন>শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ(টমটম ১০টাকা)>
শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রীজ>চুনারুঘাট মধ্যবাজার(সিএনজি ২০টাকা)>
চুনারুঘাট মধ্যবাজার>কালেঙ্গা বাজার(সিএনজি ৭০টাকা)> কালেঙ্গা বাজার থেকে ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য মেইন গেট অব্দি চলে আসবেন।
* লেগুনা রিজার্ভ করতে চাইলে(শায়েস্তাগঞ্জ- কালেঙ্গা বাজার) দামাদামি করে নিবেন, সেক্ষেত্রে ভাড়া পরবে ১০০০-১২০০ টাকা।

থাকার ব্যবস্থা :
থাকার জন্য সরকারী একটি ডাক-বাংলো আছে যেখানে থাকতে হলে জেলা প্রশাসক বা বন-বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।
এছাড়া বেসরকারী তিনটি রিসোর্ট আছেঃ
*সিএমসি রিসোর্ট (শাহাদাত ভাই – ০১৭১৯৪৭০৯৮৮)
*রেমা-কালেঙ্গা ইকো রিসোর্ট
*নিসর্গ রিসোর্ট

খাওয়া দাওয়া :
দুপুরে এবং পরদিন সকালে রিসোর্টে খেতে চাইলে গাইডকে আগে থেকে বলে রাখতে হবে।
নিচে আমাদের খাবারের খরচ গুলো উল্লেখ করলামঃ
দুপুরের খাবার(ভাত+দেশী মুরগী+শীদল শুটকি +আলু ভর্তা+ডাল)=১৮০ টাকা
রাতের বার-বি-কিউ(পরোটা ৩টা+মুরগী ২পিছ+ সালাদ+সফট ড্রিঙ্কস)=২০০ টাকা
পরদিন সকালের নাস্তা ( ডিম ভূনা+ খিচুড়ি)= ১২০টাকা

*ট্রেইলে বের হলে পানি, স্যালাইন আর হালকা শুকনা খাবার রাখা উচিৎ।
*জোঁকের কামড় থেকে বাঁচতে পায়ে বড় মুজা বা লবণ রাখতে পারেন।
* রেমা কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘুরার জন্য সঠিক সময় শীতকাল (অক্টোবর-এপ্রিল মাস)।
* রেমা কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য বাংলাদেশের জাতীয় বনগুলোর মধ্যে অন্যতম, তাই এর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। আমরা ঘুরতে গেলে যেন এখানে সেখানে পলিথিন, বিস্কুট, চিপসের প্যাকেট, পানির বোতল না ফেলি। স্থানীয়দের সাথে কোন ধরনের খারাপ আচরণ করা যাবেনা।

Dring Drang Wangdu