১৫ হাজার টাকায় কোলকাতা- শিমলা -মানালি- আগ্রা

১৫ হাজার টাকায় ঘুরে আসলাম কোলকাতা, শিমলা, মানালি আর আগ্রা! কোলকাতায় ২দিন, শিমলায় ১দিন, মানালিতে ২দিন আর আগ্রায় ১দিন আর ৪দিন আসা-যাওয়া মিলিয়ে ১০দিনের ট্যুর ছিল আমাদের।

আমরা গিয়েছিলাম ৪জন। ২২ সেপ্টেম্বর রওনা দিই খুলনা থেকে বেনাপোলের উদ্দেশ্যে। ঢাকা থেকে আসতে চাইলে খুলনার বাস/ট্রেনে আসা যাবে। বাস ভাড়া ৫৫০টাকা, ট্রেন ৫০৫টাকা।

Day Zero:
খুলনা-বেনাপোল ট্রেন (সকাল ৬টায় খুলনা রেলস্টেশন থেকে) = ৪৫টাকা
বেনাপোল-বর্ডার অটো= ২৫ টাকা (রিজার্ভ ১০০টাকা)

বর্ডারে কারো হাতে পাসপোর্ট না দিয়ে নিজে নিজে ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করুন। আগে থেকে বিভাগীয় সোনালি ব্যাংক শাখায় ট্রাভেল ট্যাক্স ৫০০ টাকা জমা দিয়ে যেতে পারেন,ইমিগ্রেশনে সময় বাঁচবে। ডলার নিতে পারেন অথবা হাতে ৫০০০ টাকা রাখতে পারেন, বাকিটা ভেতরে। এইটা বৈধ না, তবে বাংলা টাকা ইন্ডিয়ায় ভাঙ্গালে রেট ভালো পাওয়া যায়। বর্ডার পার করে টাকা ভাঙ্গিয়ে আমরা সোজা বনগাঁ স্টেশন চলে যাই। এখান থেকে সকল হিসাব রুপিতে। “১ রুপি=১.২৮ টাকা” “সকল রুম ভাড়া মাথাপিছু প্রতিদিনের”

বর্ডার-বনগাঁ = ৩০ রুপি
বনগাঁ – শিয়ালদাহ = ২০ রুপি
শিমলা যেতে হলে আগে কালকা যেতে হবে ট্রেনে। আগে থেকে টিকেট বুক দিলে তো ঝামেলা কমে গেল। আর না দিলে সোজা শিয়ালদাহ থেকে ফেয়ারলি প্লেস চলে যান। ফরেনারদের জন্য শুধুমাত্র টিকেট বিক্রি হয় ফেয়ারলির ইস্টার্ন রেলওয়ে হেডকোয়ার্টার বিল্ডিং এ। তাই পাসপোর্ট+ভিসার জেরক্স সাথে নেয়া বাধ্যতামূলক।

শিয়ালদাহ-ফেয়ারলি প্লেস= ১৫০ রুপি ট্যাক্সিতে (পারহেড ৪০ রুপি)

ফেয়ারলি থেকে টোকেন সংগ্রহ+পূরণ করে যেসব টিকেট কিনবেনঃ
১) হাওড়া টু কালকা (কালকা মেইল, ১২৩১১) = ৯৯৫ রুপি স্লিপার ক্লাস (GST সহ)
২) দিল্লি টু হাওড়া (কালকা মেইল, ১২৩১২) = ৮৮৫ রুপি স্লিপার।

টিকেট কাটা হয়ে গেলে মারকুইস স্ট্রিটে চলে যান। পূঁজার সময় গিয়েছিলাম তাই আগে থেকে হোটেল বুক দিয়ে যাওয়া বেটার মনে হয়েছে। হোটেল বুক করেছিলাম Booking.com এর মাধ্যমে। জোড়া গির্জার পাশের গলিতে ” Shaw Guest House” এ ছিলাম।

রুমভাড়া= পারহেড ৪২০রুপি

কোলকাতায় ঘোরার জায়গাঃ
১) ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ২) ইডেন ৩) একুইটিকা ৪) নিউমার্কেট ৫) হাওড়া ব্রীজ ৬) বিদ্যাসাগর সেতু ৭)সাইন্স সিটি

কোলকাতায় ১দিন থাকা শ্রেয়। শহর ঘুরতে হলে আশপাশে আপনার গন্তব্যে কত নাম্বার বাস যায় জিজ্ঞেস করে উঠে পড়ুন বাসে। বাস ভাড়া ৬ থেকে ১০ রুপির মধ্যে। অথবা ক্যাব ভাড়া করতে পারেন সারাদিনের জন্য। পারহেড ম্যাক্সিমাম ২৫০-৩০০ রুপি পড়বে।

খাবারঃ
১)সকালের নাস্তা- ৪টা রুটি, ডিম, ডাল তড়কা= ১৮ রুপি
২) দুপুরে চিকেন/ভেজ থালি= ৫০-৭০ রুপি
৩) রাতের খাবার দুপুরের মতো খেয়ে ফেলবেন= ১০০ রুপির মধ্যে

Day One:
কোলকাতায় ঘুরে কাটিয়েছি।

Day Two:
সন্ধ্যা ৭:৪০ এ কালকা মেইলে করে কালকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। ৩৩ঘন্টা থাকতে হবে ট্রেনে। তাই যত হালকা পোশাক পড়তে পারেন ততই ভালো। ট্রেনে উঠার আগে শুকনো খাবার কিনে নিতে হবে সকালের নাস্তার জন্য।

Day Three:
ট্রেনেই থাকতে হবে এই দিনটা।
ট্রেনে দুপুর/রাতে খাবার খরচঃ
১) ভেজ থালি- ১১০ রুপি
২) ডিম থালি- ১৩০ রুপি
৩) চিকেন থালি- ১৪০ রুপি

প্রতি থালিতে ১জনের ভাত, ১জনের রুটি থাকবে। স্টাফ কে বললে রুটি চেঞ্জ করে এক্সট্রা ভাত দিবে যা দুইজন আরামসে খেতে পারবে।

Day Four:
ট্রেন লেট না করলে কালকা পৌছে যাবেন ভোর ৪:৩০ এ। আগে থেকে শিবালিক ডিলাক্স টয় ট্রেনের টিকেট (৪২০ রুপি) কেটে রাখলে বসে পড়ুন টয় ট্রেনে অথবা স্টেশন থেকে জেনারেল কোটায় টিকেট (৫০রুপি) কাটতে পারেন। জেনারেল কোটায় সিট পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই। ট্রেনে আগে উঠলে আগে সিট পাবেন ভিত্তিতে সিট ফিলাপ হয়।

যারা প্রথম যাবেন শিমলা তারা অবশ্যই টয় ট্রেন ট্রাই করবেন। কালকা থেকে শিমলা বাসে/ক্যাবেও যাওয়া যায়। তবে সেক্ষেত্রে অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা মিস করে যাবেন।

শিমলায় আমরা মল রোডের ঠিক নিচেই হোটেল বুক করেছিলাম, শিমলা ওল্ড বাস-স্টপের দিকে, “Hotel Basant”
হোটেল ভাড়া= ২৭৫রুপি পারহেড

শিমলায় যদি বিকেলে পৌছান তবে শাওয়ার নিয়ে সন্ধ্যায় বেরিয়ে পড়ুন রাতের শিমলা দেখতে। বেশ ভালো ঠান্ডায় রাতের শিমলা অদ্ভুত রকমের সুন্দর।
কালি বাড়ি থেকে চার্চ পর্যন্ত হেটে বেড়ান, শেষে মল রোডে এসে বাকি সময় কাটান। আমরা এগুলা ঘুরে একটা এজেন্সীর মাধ্যমে ক্যাব বুক করলাম। নরমালি এজেন্সীর পক্ষপাতি না হলেও কস্ট কম পড়ায় এইটা নিয়ে নিই। প্যাকেজে যা যা ছিলঃ
১) শিমলা লোকাল স্পট ট্রিপ (জাখু মন্দির, গ্রীন ভ্যালি, কুফরী)
২) শিমলা থেকে মানালি বাই টাটা অল্টো ফোর সিটার
৩) মানালি লোকাল স্পট ট্রিপ (হাদিম্বা টেম্পল, মানু টেম্পল, ক্লাব হাউস, ভাসিস্থ রাম মন্দির)
৪) মানালি টু রোথাং পাস বাই টাটা অলটো
৫) রোথাং পাসের পারমিশন চার্জ

সব কিছু মিলায়ে পারহেড পড়েছিল ২১৫০ রুপি। বারগেইন করলে আরো কমে পাওয়া যেত। এজেন্সি নিলে সব কিছু আগে থেকে ঠিকঠাক করে যাবেন, কোথায় কোথায় যাবেন, কতক্ষণ থাকবেন ইত্যাদি।
ম্যানুয়ালি এই ট্রিপটা দেয়া যায় এইভাবেঃ
১) শিমলা ট্রিপ= ১২০০ রুপি ক্যাব (৪জনের)
২) শিমলা টু মানালি বাস (New bus stop shimla থেকে কিনতে হবে) = ৭০০ রুপি
৩) মানালি লোকাল স্পট= ১০০০-১২০০ রুপি পার ক্যাব
৪) মানালি টু রোথাং= অফসিজনে ২০০০রুপি আর অনসিজনে ৬০০০ রুপি পর্যন্ত হয়।
৫) রোথাং এর পারমিশন চার্জ= ৬০০রুপি

ম্যানুয়ালি/ এজেন্সি যেভাবেই যান মানালি পৌছেই রোথাং এর পারমিশন টা করিয়ে নিতে বলবেন ড্রাইভার কে। এইক্ষেত্রে ১ম দিন পারমিশন না পেলে ২য় দিন পারমিশন পাওয়ার চান্স থাকে। যেদিন পারমিশন পাবেন সেদিন ভোর ৪:৩০ এ ড্রাইভারকে পিক করতে বলবেন। নাহলে গাড়ির সিরিয়াল অনেক বেশি হয়ে যাবে আর সময় নষ্ট হবে।

Day Five:
ভোরে ক্যাবে উঠে শিমলার লোকাল স্পটগুলায় যাই। লোকাল স্পটগুলার মধ্যে আছে জাখু মন্দির, গ্রীন ভ্যালি আর কুফরী। জাখুতে অনেক বানর, তাই চশমা আর ক্যামেরা সাবধান। কুফরীতে ঘোড়ায় চড়ে উঠতে হবে।

জনপ্রতি ঘোড়ার ভাড়া= ৫০০ রুপি (এটা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত)
ঘোড়ার খরচ একটু বেশি মনে হলেও এত দূর এসে এটা না করলে ইনকমপ্লিট থেকে যায়। ঘোড়ায় চড়ার পর মনে হয়েছে ৫০০ রুপি জলে যায় নি।
কুফরীতে ঢুকতে পথে আরো ২০রুপি দিতে হয়।

শিমলা ঘুরে আমরা দুপুর ২টা ১৫তে ক্যাবে করে মানালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। পথে দুপুরের খাবার সেরে নিই।

দুপুরের খাবার= ভাত+ডাল মাখনি (৩ জন খাওয়া যায়)= ১০০রুপি পারহেড

আমরা মানালি পৌছাই রাত সাড়ে দশটায়। হোটেল ছিল মল রোডের পাশেই “Hotel Shingar”

ভাড়া= ১৭৫ রুপি পারহেড

পরের দিন মানালির লোকাল স্পটগুলায় ঘুরতে যেতে পারেন। ম্যাক্সিমাম ৩-৪ঘন্টা লাগবে সবগুলা ঘুরতে। রাতের খাবার খেয়ে তাই ঘুম দিলাম।

রাতের খাবার = ১৪০ রুপি (মানালিতে দাম একটু বেশি)

Day Six:
আটটার দিকে বেরিয়ে নাস্তা সেরে নিলাম।
নাস্তাঃ আলু পরাটা,তাওয়া রুটি আর গোলাপ জামুন= ৪৭ রুপি

মানালির লোকাল স্পটগুলার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেলাম। হাদিম্বা টেম্পল, ক্লাব হাউস, বনবিহার, ভাসিস্থ রাম মন্দির দেখে চলে এলাম মল রোডে।
মল রোডে Hotel Shingar এর পাশেই একটা বাঙ্গালি হোটেল আছে।
সেখানে দুপুরের খাবার খাই।

দুপুরের খাবার (চিকেন থালি) = ১৬০ রুপি

সন্ধ্যার দিকে মল রোডে গিয়ে বসলাম আর টুকটাক শপিং করলাম। পিউর লেদার বলে অনেক জ্যাকেট বিক্রি হয় সেখানে। বাংলাদেশের তুলনায় জ্যাকেটগুলা ভালো তবে একদম ভালোগুলা ৮০০-৯০০ রুপির বেশি দেয়া ঠিক হবে না।

রাতে মল রোড থেকে একটু সামনে এগিয়ে রোডের পাশ থেকে চিকেন ভুনা আর ব্রেড কিনে নিলাম।

চিকেন ভুনা= ৮০রুপি (দুইজন খাওয়া যাবে)
ব্রেড= ২০ রুপি (বড়টা)

Day Seven:
অক্টোবরের প্রথম দিকে অফসিজন থাকে তাই রোথাং এর উদ্দেশ্যে একটু দেরী করে ভোর সাড়ে ছয়টায় রওনা দিলাম। গাড়ি সেটাই যেটা আমাদের শিমলা থেকে মানালি নিয়ে আসছিল।
মানালি থেকে ৫০ কিমি দুরের রোথাং যাওয়ার রাস্তা দেখে অবাক হয়ে গেলাম। এত বেশি এল্টিটিউডের রাস্তা কিভাবে এত সুন্দর থাকে? আঁকাবাকা পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে উঠে গেলা ১৩ হাজার ফিট উপরে।

রোথাং পৌছাতে আমাদের সকাল সাড়ে নয়টা-দশটা বাজলো। এখন বরফ নাই, কিন্তু হাড়কাপাঁনো ঠান্ডা আছে। নভেম্বরের শেষের দিক থেকে বরফ পড়া শুরু হয়। এখন দূরের পাহাড়গুলায় বরফ দেখা যায়।
রোথাং এ অনসিজনে (নভেম্বরের শেষ থেকে মার্চ পর্যন্ত) ঘোড়ায় চড়ে উপরে উঠা, প্যারাগ্লাইডিং হয়। প্যারাগ্লাইডিং করতে হলে ৩৫০০-৫০০০ রুপি গুনতে হবে।

মানালি থেকে দিল্লির সেদিন বিকেলের ৫:৩০ এর বাসের টিকেট কাটি হোটেলের মাধ্যমে।
মানালি টু দিল্লি এসি ভলভো বাস= ৯৫০রুপি
ইন্ডিয়ান বাসের অবস্থা আমাদের দেশের চেয়ে খুবই বাজে। ফাকা রাস্তায়ও তারা ৪০ এ চালায়। বাঙ্গালি হোটেলে খেয়ে মানালির হোটেল থেকে চেকআউট করে ৫:৩০ এ “ভলভো বাস স্ট্যান্ড” থেকে বাসে উঠে পড়ি। রাতের জন্য ১কেজি আপেল ৫০ রুপি দিয়ে কিনে নিই। এখানে আপেলের দাম তুলনামূলক কম আর মানও ভালো।

Day Eight:
ভোরে/সকাল ৭টার মধ্যে দিল্লি পৌছানোর কথা ছিল। পৌছালাম সকাল সাড়ে দশটায়।
দশটায় নিউ দিল্লি রেলস্টেশন থেকে আগ্রা যাওয়ার “Jheelum Express” ছিল। তবুও ট্রেন থাকেই আগ্রার এইভেবে নিউ দিল্লি রেলস্টেশন এ যাওয়ার জন্য উবার নিলাম। বলে রাখা ভালো ইন্ডিয়ায় মুভ করার জন্য ফোনে “Uber” ইন্সটল করা ফরজ। ভাড়া নরমাল থেকেও কম পড়ে।
উবারের ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম উনি আগ্রায় যায় নাকি?
বললেন যায়..৩২০০ রুপিতে যাওয়া-আসা।
নরমালি উবারে এই ভাড়া দেখায় ৬০০০রুপি। আমরাও আর দেরী না করে নিয়ে নিলাম। তবে ভাড়া প্রকৃতপক্ষে ৬০০০ রুপিই। উনি তাড়াহুড়ায় কম বলে ফেলসেন।

আগ্রায় পৌছাতে বিকেল ৩টা বাজলো। তাজমহলের টিকেট কাউন্টার পার্কিং এর পাশেই।
তাজের টিকেট কাটতে ডকুমেট শো করতে হয়, ইন্ডিয়ানদের আধার কার্ড আর ফরেনারদের পাসপোর্ট। ইন্ডিয়ানদের জন্য যে টিকেট মাত্র “৪০” রুপি সেই টিকেটই ফরেনারদের জন্য “৫৩০” রুপি।
টিকেটের সাথে এক বোতল পানি, জুতার কভার দিবে সৌজন্য হিসেবে

তাজমহল ঢুকে গেলাম ফরেনার কোটায় সবার আগে আলাদা লাইনে। টাকা কথা বললে যা হয় আর কি। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত তাজমহল খোলা থাকে। তাই সূর্যাস্ত টা বসে বসে দেখলাম তাজ থেকে।

আমাদের হাওড়া যাওয়ার কালকা মেইল Old Delhi Railway Station থেকে ছিল পরের দিন সকাল ৬:৫০ এ। আগ্রা থেকে আসার সময় গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়, রাতের খাবার ঢাবা তে সারি।
রাতের খাবারঃ রুটি, ডিম ভুর্জি আর কফি= ৭০ রুপি

Day Nine:
রেলস্টেশন পৌছাই রাত চারটায়। সকাল ৬:৫০ এ কালকা মেইল আসলো, উঠে গেলাম, টিকেট সেই ফেয়ারলি থেকে করা।
দিল্লি থেকে হাওড়া যেতে সময় লাগে পাক্কা ২৫ঘন্টা। পরের দিন সকাল ৮টায় হাওড়া পৌছায় এই ট্রেন। ট্রেনে খাওয়া-দাওয়া আর ঘুম দেয়া ছাড়া বিশেষ কিছুই করার নাই, এটলিস্ট এত জার্নির পর আর কিছু করতে ইচ্ছাও করবে না।

সকালের নাস্তাঃ পুরি+সবজী(আলু)= ২০রুপি
দুপুরের খাবারঃ ডিম থালি= ১৩০ রুপি (২জনের)
রাতের খাবার= পুরি সবজী+ ডিম বিরিয়ানি(হাফ) = ৫৫ রুপি (১জনের)

Day Ten:
হাওড়া পৌছাই সকাল নয়টায়। হাওড়া থেকে শিয়ালদাহ চলে যাই বাসে। ভাড়া ৯রুপি। শিয়ালদাহ থেকে বনগাঁ যাওয়ার “বনগাঁ লোকালের” টিকেট কাটি ২০ রুপি দিয়ে। ১০:২৮ এ একটা ট্রেন আছে, ১১:২৮ এ একটা আছে। ১১:২৮ এর ট্রেনে বনগাঁ পৌছাই দুপুর ১:৩০ এ। সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে সোজা বর্ডার। বর্ডার পার হয়ে গেলাম আধঘন্টার ব্যাবধানে।

বিঃদ্রঃ ইন্ডিয়ান কোন হোটেলেই এক রুমে ৩জনের বেশি এলাউ করে না, ৪জন এক রুমে থাকতে হলে এক্সট্রা বেডের টাকা দিতে হয়, ২০০-৩০০ রুপি পড়ে প্রতিদিনের হিসাবে।

হ্যাপি ট্রাভেলিং! তবে আগে দেশ ঘুরুন, পরে বিদেশ।