কিশোরগঞ্জ সমাচার

কিশোরগঞ্জ ভ্রমন

ঢাকার খুব কাছেই কিশোরগঞ্জ জেলা। চাইলে সহজেই ঘুরে আসতে পারেন শহরটা সাথে তো চমৎকার হাওড় আছেই। আপনি যদি হাওড় বিলাসী হোন তবে কিশোরগঞ্জ ট্যুর আপনার জন্য –

#কিভাবে_যাবেন : ঢাকা থেকে সড়ক পথে আর রেল পথে কিশোরগঞ্জ যাওয়া যায়। বাসে যেতে হলে মহাখালী/বনানী/এয়ারপোর্ট বাসস্ট্যান্ড হতে অনন্যা পরিবহনে চার ঘন্টায় চলে যেতে পারবেন। বাস ভাড়া ২২০টাকা। আর ট্রেনে যেতে হলে দুটো ট্রেন আছে যাবার। এগারোসিন্ধুর ট্রেন সকাল ৭:২০, সন্ধা ৬:২০ এবং কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস সকাল ১০:২০ কমলাপুর থেকে কিশোরগঞ্জ এর উদ্দেশ্যে ছাড়ে। টিকেট শোভন চেয়ার ১৪০টাকা, শোভন ১২০টাকা, প্রথম শ্রেনী ২০০ টাকা।

#থাকবেন_কোথায় : কিশোরগঞ্জ এ মোটামুটি ভালো মানের হোটেল আছে থাকার। ক্যাসেল সালাম, উজানভাটি, গাংচিলসহ আরও কিছু আছে। তবে আমার উপদেশ থাকবে, সবচেয়ে ভালো হয় আপনার পরিচিত কারো বাসায় থাকলে, একটু আশেপাশে খোজ নিলেই পরিচিত কিশোরগইঞ্জা অবশ্যই পেয়ে যাবেন। আমি নিজেও কিশোরগইঞ্জা 😎

– বাসে কিশোরগঞ্জ আসলে গাইটাল বাসস্ট্যান্ডে নেমে পড়ুন আর ট্রেনে আসলে শেষ স্টেশন কিশোরগঞ্জ। শহরটা ঘুরে দেখতে পারেন নতুবা সরাসরি চলে যান অটো দিয়ে একরামপুর সেখান থেকে সিএনজি রিজার্ভ কিংবা সিঙ্গেলে করে চলে যান চামড়াবন্দর। সেখানে ট্রলার রিজার্ভ করে মিঠামইন, ইটনা বা অস্ট্রগ্রাম উপজেলাগুলা ঘুরে আসতে পারেন। রাষ্ট্রপতির এলাকা বলে কথা, ঘুরে আসলে দারন উপভোগ করতে পারবেন হাওড়ের বিশাল সৌন্দর্য। চড়ে নামতেও পারেন, হাওড়ের পানিতে গোসল করে ফেলতে পারেন, এছাড়া ডুবো ভাসমান রাস্তাও দেখতে পারবেন। আর যদি একদিন হাওড় এলাকায় থাকার ব্যাবস্থা করে ফেলতে পারলে আর সেদিন চাঁদনী রাত হলে তো কথাই নেই।। অথবা এদিকে যেতে না চাইলে আরেক উপজেলা নিকলীও ঘুরে আসতে পারেন।।
যদি সেদিন ব্যাক করতে চান ঢাকায় তবে সন্ধা বিকাল ৫টার ভেতর ব্যাক করে চলে আসনু কিশোরগঞ্জ শহরে। শহরের লেকপাড় তথা গুরুদয়াল কলেজের মুক্তমন্চটা দেখে ৬টার ভেতর গাইটাল বাসস্ট্যান্ড চলে যান।।
আর যদি একদিন থাকেন তবে সেদিন পুরোদিন হাওড়ে কাটিয়ে সন্ধায় হোটেলে ব্যাক করে রাতের কিশোরগঞ্জ শহর ঘুরে দেখুন বিশেষ করে মুক্তমন্চ এড়িয়া। খাবারের জন্য শহরে অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে। দারুচিনি, গাংচিল, ধানসিড়ি, স্টার ওয়ান ভালোর মধ্যে। পরদিন সকালে চলে যান শহরের একপাশে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদের জামাত “শোলাকিয়া ঈদগাহ”। এছাড়া আছে শহীদি মসজিদ, পাঘলা মসজিদ। কিংবা সেদিন চাইলে “নিকলী উপজেলার হাওড়” ঘুরে আসতে পারেন। চাইলে ভৈরব উপজেলায় ঘুরে আসতে পারেন।

– আমার জেলা কিশোরগঞ্জে আপনাকে স্বাগতম –

হাওড় আমাদের দেশের সম্পদ। হাওড়ের পানিতে এমন কিছু ফেলবেন না যা হাওড়ের জন্য ক্ষতিকর তথা পরিবেশ দূষন করবেন না।